সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ– মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ পটিয়া পৌরসভা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ- দপ্তর সম্পাদক সমাজ সেবক দিদারুল আলম (২৭ জুন রবিবার) বিকেলে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকাল তৃতীয় ঢেউ প্রাদুর্ভাবে মোকাবেলায় জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন সংলগ্ন মসজিদের মুসল্লিদের জন্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রী জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মুহাম্মদ ইদ্রিস হাতে তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ পটিয়া- কর্ণফুলী সমন্বয়কারী জাফরুল ইসলাম, দৈনিক জনতা ও দৈনিক ইনফো বাংলা সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী, ইউপি সদস্য রানা মেম্বার, সমাজ শফিকুল ইসলাম, সমাজ সেবক নজরুল ইসলামসহ আরোও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন,করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে ধাপে ধাপে চলছে লকডাউন, নেওয়া হচ্ছে সীমাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ।

বিশেষ করে নিজেদেরকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার প্রয়াসে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা, চলছে বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচি। স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা অন্যতম বলে মনে করেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, নাক হলো প্রাণিদেহের অন্যতম ইন্দ্রিয় যার মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া হয় এবং যা সরাসরি ফুসফুসের সাথে সংযুক্ত। তাই করোনাভাইরাস খুব সহজেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে বাসা বেঁধে নিতে পারে।

এজন্য হয়তো সরকার মাস্ক পরার উপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। পটিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক দিদারুল আলম বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ঘরের বাইরে গেলে আমরা মাস্ক পরার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখাই। হাট-বাজার, দোকান-পাট, বিপণি-বিতানে সর্বত্রই আমরা মুখে মাস্কবিহীন অবাধে চলাচল করি।

সমপ্রতি ভারতে করোনা ভাইরাসের ভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যা খুবই ভয়াবহ বলে ধারণা করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এ দেশ, এ মাটি আমার, আপনার, আমাদের সকলের। তাই এদেশের সুরক্ষায় আমাদের ভূমিকা অপরিসীম। এজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটির পটিয়া- কর্ণফুলী সমন্বয়কারী জাফরুল ইসলাম বলেন,সবাই কে সচেতন থাকতে হবে এবং অন্যদেরকে অনুপ্রাণিত করা উচিত। অধুনা আমাদের দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামক নতুন এক ছত্রাকের সন্ধান পাওয়া গেছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, করোনা ভাইরাসের পরবর্তী সংক্রমণ নাকি এ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ যা টিকা গ্রহণের পরেও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিজেদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সকলের আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান।